মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Wednesday, October 8, 2014

দূর্গা,গনেশ,শিব ,কৃষ্ণের অশ্লীলতা



দূর্গা, গনেশ, শিব, কৃষ্ণের অশ্লীলতাঃ পর্ব ১
******★*******★★************
(হিন্দু ধর্মানুসারী বন্ধুদের কাছে বিনীত অনুরোধ, উপরোক্ত সুত্রগুলো থেকে প্রাপ্ত নিম্নের রেফারেন্সগুলো কতটা সঠিক জানতে আপনাদের সাহায্য চাই। বর্ণিত গ্রন্থগুলোতে এসব আছে কি না? যদি না থাকে, তবে মুল শ্লোকগুলো অনুবাদসহ জানতে চাই। আর যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে আমি সবিনয়ে প্রশ্ন করতে চাই, ধর্মের দেবদেবীদের মধ্যে যদি মা ছেলে, ভাই বোনের সম্পর্কে এমন অবাধ যৌনতা, নোংরামি, নষ্টামি, ভন্ডামি থাকে তারা কিভাবে পূজনীয় হতে পারে?
যে গ্রন্থগুলোতে চটিবইসম এমন যৌনতার কাহিনী বিদ্যমান, সেগুলো ধর্মগ্রন্থ হয় কোন যুক্তিতে? আমি সত্য জানতে চাই। আশা করি আপনাদের সাহায্য পাব।)

প্রথমে আমরা দেখি প্রভু কৃষ্ণের ভন্ডামি:
(মামির যৌবনে পাগল কৃষ্ণ)
মাউলানীর যৌবনে কাহ্নের মন। বিধুমুখে বোলেঁ কাহ্নাঞিঁ মধুর বচন॥ সম্বন্ধ না মানে কাহ্নাঞিঁ মোকে বোলেঁ শালী। লজ্জা দৃষ্টি হরিল ভাগিনা বনমালী ॥
দেহ বৈরি হৈল মোকে এরুপ যৌবন। কাহ্ন লজ্জা হরিল দেখিআঁ মোর তন ॥ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের দানখন্ডঃ রামগিরীরাগঃ পৃষ্ঠাঃ ২০ ॥ (শব্দার্থঃ মাউলানী- মামী, কাহ্নের- কৃষ্ণের, বোলেঁ- বলে, হরিল- হারাল, বনমালী- কৃষ্ণ, মোকে- আমাকে, দেখিআঁ- দেখে, তন- স্তন।)
চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন এর বৃন্দাবন খন্ডে পাওয়া যায়ঃ
এ তোর নব যৌবনে ল
আহোনিশি জাগে মোর মনে।
তাহাত তোক্ষা রমণে ল
খেতি করে আক্ষার পরাণে॥
.....॥ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন (চন্ডীদাস বিরচিত) : বৃন্দাবন খন্ডঃ পৃষ্ঠা-৮৯ ॥
(শব্দার্থঃ আহোনিশি- অহরহ, তোক্ষা - তোমার, খেতি করে - কর্ষণ করে বা আঘাত করে, আক্ষার -আমার)
অর্থঃ “রাধে, তোমার এই নব
যৌবনের সুষমা অহরহ আমার মনে জাগিতেছে। তাহাতে আবার তোমার সহিত রমণেচ্ছা প্রবল হইয়া আমার হৃদয়কে অতিমাত্রায় কর্ষণ করিতেছে।” (শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : ভাষাসর্ব্বস্ব
টীকা-২৫২পৃষ্ঠা)
রাধার সখিদের সাথে কৃষ্ণের ভন্ডামি-
শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের যমুনা খন্ডে বলা হয়েছেঃ
আহা।গোপীর বসন হার লয়িআঁ দামোদর।
উঠিলা গিআঁ কদম্ব তরুর উপর ॥
তথাঁ থাকী ডাক দিআঁ বুইল বনমালী।
কি চাহি বিকল হঅ সকল গোআলী ॥১॥
নিকট আইস মোর মরণ সব গোপীগণে।
আজি কথা সুণ মোর মরণ জীবনে ॥ধ্র“॥
দেখি[ল] হরষে তা সব গোপযুবতী।
গাছের উপরে কাহ্নাঞিঁ উল্লাসিত মতী ॥
হরিআঁ গোপীর হার আঅর বসনে।
হাসে হাসি খলখলি কাহ্নাঞিঁ গরুঅ মনে ॥২॥
কুলে পরিধান নাহি দেখি গোপনারী।
হৃদঞঁ জানিল তবে নিলেক মুরারী ॥
তবে বড় গল করী বুইল জগন্নাথে।
তোক্ষার বসন হের আক্ষার হাতে ॥
৩॥
যাবত না উঠিবেঁহে জলের ভিতর।
তাবত বসন নাহি দিব দামোদর ॥
এহা জাগী তড়াত উঠিআঁ নেহ বাস।
বাসলী শিবে বন্দী গাইল
চন্ডীদাস॥৪॥
॥ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : যমুনা খন্ড ॥
পাহাড়ীআরাগ ॥ পৃষ্ঠাঃ ১০২॥
- এখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের বর্ণনা করা হয়েছে। রাধা তার অষ্টসখিদের নিয়ে পুকুরে স্নান করতে যায়।
সখিরা তাদের নিজ নিজ বসন খুলে বিবস্ত্র হয়ে জলেতে নামিল।
বিবস্ত্র হয়ে জলে নামার কথাটা উল্লেখ আছে পরের শ্লোকে।
পৃষ্ঠা : ১০৩, ধানুষীরাগ : ॥
একতালী॥
আল বড়ায়ি সাত পাঁচ সখিজন লআঁ।
জলেত ণাম্বিলী লাঙ্গট হআঁ ॥ল॥
.....॥ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : যমুনা খন্ড :পৃষ্ঠা : ১০৩ : ধানুষীরাগ :॥
(শব্দার্থঃ কদম্ব তরুর- কদম গাছ,
তোক্ষার- তোমার, আক্ষার- আমার,যাবত- যতক্ষণ, উঠিবেঁহে- উঠিয়া আসিবে, জলের ভিতর- জল থেকে, তড়াত- তাড়াতাড়ি করে,বুইল- বলল, দিআঁ- দিয়ে, গিআঁ-গিয়ে, দামোদর - কৃষ্ণ, করী- করে,লআঁ- নিয়ে, ণাম্বিলী- নামিল,লাঙ্গট- উলঙ্গ।)
এখানে, তোক্ষার বসন আক্ষার
হাতে ॥৩॥
তোমার কাপড় আমার হাতে।
যাবত না উঠিবেঁহে জলের ভিতর।
যতক্ষণ না উঠিয়া আসিবে জল থেকে।
তাবত বসন নাহি দিব দামোদর ॥
ততক্ষণ কাপড় নাহি দিবে কৃষ্ণ।

সখিসব স্নানশেষে কূলেতে তাকিয়ে দেখে তাদের পরিধানের বসন নেই। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখে শ্রীকৃষ্ণ তাদের বসন গুলো নিয়ে কদম গাছের ডালে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। বসন চাইলে কৃষ্ণ তাদের কে জলের ভিতর থেকে উঠে আসতে বলে। সখিসব বিবস্ত্র অবস্থায় কূলে উঠতে ইতস্ততঃ বোধ করল। কিন্তু না উঠে উপায় কি? যতক্ষণ পর্যন্ত তারা জল থেকে না উঠে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বসন ফেরত দেবেনা।
এবার আমরা দেখবো মনু/শিব,গনেশ আর দেবী দূর্গার অশ্লীলতা:
হিন্দু মহিলারা প্রত্যহ সন্ধ্যায় শিব লিঙ্গ পূঁজা করে থাকে। শিব হইল মনু বা মহাদেবের অপর নাম, আর শিবলিঙ্গ মানে হলো মাহাদেবের ফ্যামিলি জুয়েল।
মূল কাহিনি:- চিরাচরিত নিয়ম অনুযাই একদিন মহাদেব তার পত্নী পার্বতীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়।
পার্বতী হলো দূর্গার অপর নাম। যখন
মাহাদেবের প্রমত্ত যৌন উত্তেজনার ফলে পার্বতী মরনাপন্ন হয়ে পড়ে, তখন পার্বতী প্রান রক্ষার জন্য ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করতে থাকে। এ অবস্থায় কৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্রের দ্বারা উভয় লিঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পার্বতীর প্রান রক্ষা করেন। আর এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রবর্তন হয় এই যুক্তলিঙ্গ পূজা । (ভগবত, নবম স্কন্ধঃ৫৯৮)
এর পর পার্বতী নিজ যৌন চাহিদা মিটাতো তার পেছনের রাস্তা.... দিয়ে। আর মাহাদেব যেহেতু লিঙ্গ কাটার পর পার্বতীর যৌন চাহিদা পুরা করতে পারত না। তাই পার্বতী অন্যান্য ভগবানদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হত। একদিনের ঘটনা। পার্বতী ভগবান বিষ্ণুর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। ঠিক এমন সময় সেখানে গনেশ এসে হাজির। গনেশ ছিল পার্বতীর আপন ছেলে। তখন পার্বতী গনেশের থেকে নিজেকে লুকানোর জন্য নিজ চেহারা তুলশীর চেহারায় পরিবর্তন করে ফেলে। তুলশীর সাথে গনেশের পূর্ব থেকে যৌন সম্পর্ক ছিল। তখন গনেশ নিজ মা পার্বতীকে তুলশী ভেবে তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে এই ঘটনা মহাদেব জানতে পেরে অভিশাপ দিয়ে নিজ ছেলে গনেশের মাথা হাতির মাথায় পরিবর্তন করে দেয় । (স্কন্ধ পুরাণ, নাগর খন্ডম ৪৪৪১, পৃঃ১-১৬)
আরও কিছু তথ্য:
১. যিনি যৌতুক হিসেবে ২২ হাজার দাসী নিয়েছিলেন; তিনি=কৈলাসের দেবদাস [ওরফে চন্দ্রশেখর ওরফে শিব ] (কালিকাপুরাণ ৪৮ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৪৭৪)
২. পরের স্ত্রীর (সীতার) রুপ- যৌবনের বর্ণনায় পটু যিনি তিনি= রাবন (রামায়ন: ৩:৪৪:১৫-১৯)
৩. বউ এর বান্ধবীর সাথে বিহার কালে ধরা খান যিনি তিনি= কৃষ্ণ (ব্রহ্মবৈর্বতপু রাণ, প্রকৃতিখন্ডম, একাদশোহধ্যায়ঃ, পৃষ্ঠা নং- ৬২২-৬৩৭)
৪. পিতা যে কন্যার স্বামী= ব্রহ্মাসতী (মহাভাগবত পুরাণ- প্রথম খন্ড, ''দশমোধ্যায়'', পৃষ্ঠা-১৩০-১৪২)

তথ্যসূত্র: [সত্যভূত(Fb), wikipedia, ছুপামালু, বেদ, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন ইত্যাদি]

4 comments:

  1. sob guloy vittihin...srikrishna kirton kono sastro noy ,moddhojuge muslim sason amole likha....hoito muslim sasok ra tader dhormo prochar er jonno hindu kobi der taka khaiye likechilo.....ek e vabe kalika puran tantrik der rochito ...ja 18 puran er moddhe pore na....r shib lingo kokonoy jounango noy ta jante shib puran er prothom odday porun


    ReplyDelete
    Replies
    1. মুসলিম শাষকরা লেখিয়েছে? এ কোন ইতিহাস আপনি বললেন??
      আর আপনি মুসলিম নাম রেখেছেন কেন?

      Delete
  2. যেমন আপনি মুসলিম নামধারী হিন্দু @asif mehbub?

    ReplyDelete

Pages