মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Tuesday, July 10, 2018

বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ প্রেমে সমস্যা নেই; বিয়ের কথা বললেই বেশরম-বেলাজ!


লিখেছেন - সেলিম সামীর

কোন ছেলে কিংবা মেয়ে যদি মুখ ফোটে বিয়ের কথা বলে তাহলে তার নিজ পরিবারই বেলাজ, বেশরম, বিয়ে পাগলা ট্যাগ দেয়। বর্তমান সমাজের অবস্থা, পারিপার্শ্বিকতার বিচারে বয়ঃসন্ধিকালেই যখন বিয়েটা সেরে ফেলা জরুরি, সেখানে আমাদের পরিবার, সমাজের এ ধরনের ট্রেন্ড কতটা ঈমান আমল এবং নৈতিকতা বিধ্বংসি তা কি আমরা অনুধাবন করতে পারি? একটি ছেলে বা মেয়ে পরিবেশ পরিস্থিতির বিচারে যখন নিজের আমল এবং চরিত্রকে নিরাপদ রাখতে বিয়েটাকে খুব জরুরি মনে করে, এবং নিজের মত প্রকাশ করে, তাকে ঐসব ট্যাগ দিতে পরিবার সমাজ কুন্টাবোধ করে না। অথচ একটা ছেলে বা মেয়ে যদি লুকিয়ে লুকিয়ে পরপুরুষ পরনারীর সাথে প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খায়, প্রস্টিটিউসনে গিয়ে গা ভাসিয়ে দেয় তারপরেও পরিবার সমাজের চোঁখে সে ভদ্র ছেলে, ভদ্র মেয়ে।

বিষয়টি এমন যে, সকল পাপ পঙ্কিলতা থেকে নিজেকে বাচাতে কেউ যদি শরমের মাথা খেয়ে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে সে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশরম ইনসান। অন্যদিকে নামাজি আদবি পরহেজগার ছেলে/মেয়েই পরিবার সমাজের চোঁখে সবচাইতে লাজুক এবং ভদ্র, সে যদি লোক চক্ষুর অন্তরালে ঈমান আমলের মাথা খেয়ে আপাদমস্তক ডুবে থাকে অবৈধ লিলাখেলার অতলান্তে; তবুও সে সুবোধ বালক, চরিত্রের সার্টিফিকেটধারী।

আমাদের প্রিয় বিশ্বনবী সঃ বয়ঃসন্ধিকালের যে সময়টাতে ছেলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে বলেছেন, যে সময়টা ছেলে মেয়েদের জন্য সাংঘাতিক বিপদজনক, সেই 'টিন এজ' এর সময়গুলো পেরিয়ে এসেছি আজ থেকে কম করে হলেও এক যুগ আগে। পেঠের ক্ষুধার পরেও যে শরিরের আরেকটি ক্ষুধা আছে, সে ক্ষুধাকে নিদারুণ ভাবে অনুভব করেছি ঐ সময়গুলোতে। কিন্তু আজ! আজ সেই ক্ষুধার অনুভূতি খুব দ্রুত গতিতে ভোতা হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারি। যদিও আজ অবধি সেই ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থা পরিবার করতে পরেনি। সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্ব উদ্যোগেও কিছু করতে পারিনি।

এহেন অবস্থা আমার একার নয়, গোঠা সমাজের অন্ততঃ ৮০ ভাগ ছেলে মেয়ের। এ কারণেই গোঠা সমাজ আজ অনৈতিকতা আর চারিত্রিক অবক্ষয়ের কবলে বিপর্যস্ত। পথে-ঘাটে, হাটে-মাঠে বেহায়াপনা আর অশ্লীলতার জোয়ার। হোটেলে, পার্কে, শপিং মলে, বিনোদন কেন্দ্রে কোথায় নেই বেহায়াপনা! ধর্ষনতো এখন নিউজের একটি কমন বিষয়!!

একটি মুসলিম সংখ্যাঘরিষ্ট দেশের এটাই কি সামাজিক রুপ হওয়া উচিত ছিল? ইসলাম কি শুধু নামাজ রোযা ইত্যাদি কতক রুকন পালন করার নাম? অথবা ব্যাক্তিগত আমল নামার নাম? সমাজ সমষ্টিতে ইসলামের কোন রুপরেখা নেই? মাঝে মাঝে আকুন্ঠ কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঘুনে ধরা এ সমাজের পাছায় কষে লাথি দিতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে পোকা মাকড় আর মাছিতে ভন ভন করা পচাঁ গান্ধা এ সমাজকে ঝেটিয়ে বিদায় করে শ্বাশ্বত সুন্দর একটি ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণের। যে সমাজ গুটিকয়েক রীতি নীতির কাছে বাধা পড়ে থাকবে না। যে সমাজের মুখ্য উদ্দেশ্য হবে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। যে সমাজ হবে সকল মানুষের ইহকালীন কল্যাণের জন্য নিবেদিত এবং পরকালীন মুক্তির চুড়ান্ত লক্ষ্যে উৎসর্গিত।

No comments:

Post a Comment

Pages