মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Tuesday, July 24, 2018

‘আনবিটেবল’ মাহমুদুর রহমান -ব্যারিস্টার ডক্টর তুহিন মালিক

ব্যারিস্টার ডক্টর তুহিন মালিক তার ফেসবুক পেইজে মাহমুদুর রহমান সম্পর্কে লিখেছেন, -

'বহু যাতনার পরও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হননি। সুস্পষ্ট ভাষায় বলেই গেছেন ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণ একজন ভিভিআইপির পুত্র ও উপদেষ্টাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। এ লড়াই থামবে না।’ আসলে আদর্শের লড়াই কখনো থামে না। আদর্শের যেমন পরাজয় হয় না, তেমনি আদর্শের কোনো মৃত্যুও নেই। যুগে যুগে অকুতোভয় যোদ্ধারা অপরাজিতই থাকবেন। চিরকালই তারা ’আনবিটেবল’।'
-ডক্টর তুহিন মালিক

তুহিন মালিকের পোস্টের স্ক্রিনশট 

ডক্টর তুহিন মালিক এই স্ট্যাটাসের সাথে 'নয়া দিগন্ত' পত্রিকার একটি লিংক শেয়ার করেছেন। সেই লিংকের লেখাটি নীচে দেয়া হলো।

নয়া দিগন্ত পত্রিকার লিংকে যেতে এখানে ক্লিক করুন

‘আনবিটেবল’ মাহমুদুর রহমান

-ডক্টর তুহিন মালিক

এক. ৭০ মামলায় জামিনের পরও মুক্তি পাননি আমার দেশ পত্রিকার অকুতোভয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সুপ্রিম কোর্টের জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছার পরও ১২ দিন ধরে সুকৌশলে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয় পিডব্লিউ। ১২ দিন পর যখন পিডব্লিউ আদেশ প্রত্যাহার করা হয়, তখন ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ককটেল মারার এক অদ্ভুত মামলায় নতুন করে তাকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এই মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৪ জনের নাম রয়েছে আসামির লিস্টে। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের তিন বছর পর, দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ মামলায় জামিন পাওয়া মাহমুদুর রহমানকে জামিনে মুক্তি দেয়ার বদলে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারেই রেখে দেয়া হলো। অথচ পুরো দেশবাসী সাক্ষী যে, তিনি সেই সময় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা অফিসেই অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো অপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় জড়িত থাকতে পারে, এমন সন্দেহে কাউকে শ্যোন অ্যারেস্ট করা যাবে না।’ অথচ তার এই নির্দেশের পাঁচ দিনের মাথায় শ্যোন অ্যারেস্ট করে গ্রেফতার দেখানো হলো মাহমুদুর রহমানকে। তার অপরাধ, তার সত্য-বলিষ্ঠ লেখনী, তার সাহসী সংবাদ, তার সততা ও বলিষ্ঠতা। আর এ কারণেই পুরো সরকার তার মসনদসহ ভীত পর্যুদস্ত হয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই ঈমানি শক্তিতে বলীয়ান এই মানুষটিই আজ এ দেশে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার। দুদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে কোনো একটা অভিযোগই প্রমাণ করা গেল না আদালতে। অথচ নোটিশ গ্রহণ না করার তুচ্ছ অভিযোগে তিন বছরের জেল দেয়া হলো তাকে। সরকারের নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই সম্পাদককে যুক্তি-তর্ক-প্রমাণ দিয়ে সাজা দিতে না পারলেও তার ভাগ্যে জুটেছে আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড। হাস্যকর সব ‘যুক্তি’ দেখিয়ে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় তাকে পরাজিত করেও যেন শান্তি পাচ্ছে না সরকার। মামলায় পরাজিত করতে পারলেও, তার আদর্শকে পরাজিত করতে পারছে না। আর এই না পারাটাই যে তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়, সেটা নতুন করে আবার এই ককটেল মামলা দিয়ে প্রমাণ করা হলো।

No comments:

Post a Comment

Pages