মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Sunday, November 18, 2018

শ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক মোহাম্মাদ মোস্তফা (সা.)

আরব জাতির জন্য এ যেন ছিল অন্ধকার থেকে আলোকের জন্ম। এর সংস্পর্শে এসে আরব দেশ সর্বপ্রথম জীবন্ত হয়ে উঠল। একটা তুচ্ছ মেষপালক জাতি যারা পৃথিবীর সৃজন অবধি অলক্ষিত অবস্থায় মরুভুমিতে বিচরণ করত, তাদের কাছে একজন বীর পয়গাম্বর পাঠানো হল এমন বাণী দিয়ে যা তারা বিশ্বাস করতে পারে। দেখ! সেই অলক্ষিত হয়ে উঠল জগদ্বিখ্যাত, সেই ক্ষুদ্র বেড়ে উঠল বিশ্ব মহান রূপে। এই আরবের মানুষ মুহাম্মদ এবং ঐ এক শতাব্দি- একথা বলা কি ঠিক নয় যে, যেন একটা স্ফুলিঙ্গ। মাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ এমন ভূ-ভাগের উপর আপতিত হল, যা কৃষ্ণবর্ণ অলক্ষিত বালুকা বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু দেখ! ঐ বালুকা বিস্ফোরক বারুদের রূপ ধারণ করে দিল্লী থেকে গ্রানাডা পর্যন্ত সমগ্র ভূ-ভাগে গগনচুম্বী শিখা বিস্তার করে দাউ দাউ করে জ্বলছে। 
-------------------------------------------------
সেলিম সামীর
-------------------------------------------------
মহানবী মোহাম্মাদ (স.) এমন এক সময়ে এ নশ্বর পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন, যখন আরব জাহান ঘোর তমশায় আচ্ছন্ন ছিল। আরবরা নিমজ্জিত ছিল অজ্ঞতার অন্ধকারে। আরবের এ যামানাকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বা অজ্ঞতার যুগ হিসেবে ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেছেন। তবে এ অজ্ঞতা শুধু আরব দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং সমগ্র দুনিয়ার মানুষ অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে ছিল। দু’টি মৌলিক অজ্ঞতা মানুষকে নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌছে দিয়েছিল। প্রথমতঃ স্রষ্ঠা সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাব। সৃষ্টিকর্তা যে এক অদ্বিতীয় এ মহা সত্য সম্বন্ধে মানুষ ছিল সম্পূর্ণ অজ্ঞ। অবশ্য তৎকালীন আহলে কিতাব বা ঐশীগ্রন্থধারী ইহুদি ও নাসারা দু’টি জাতি ছিল। তারা নিজেদের ধর্মকে এতটাই বিকৃত করে ফেলেছিল যে, তাদের নবীগণ স্বয়ং ফিরে আসলেও ঐ দু’টি ধর্মকে তাদের প্রচারিত ধর্ম বলে চিনতে পারতেন কিনা সন্দেহ ছিল।
দ্বিতীয় মৌলিক অজ্ঞতা হচ্ছে, মানুষের নিজ সত্বা সন্মন্ধে অজ্ঞতা। মানুষ ভুলে গিয়েছিল নিজ আত্মার পরিচয়। ভুলে গিয়েছিল তার প্রকৃত সত্বা, মান, মর্যাদা ও গৌরব। ভুলে গিয়েছিল সমগ্র সৃষ্টি জগতে কত উচুঁতে তার অবস্থান। সে যে আশরাফুল মাখলুকাত (সৃষ্টির সেরা জীব)। তাকে পাঠানো হয়েছে আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনিধি হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে। বস্তুতঃ এ দু’টি মৌল অজ্ঞতার কারণে সে যুগে জগতের সর্বত্রই মর্ত্যের আলো নিভে গিয়েছিল, আর অসত্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠে সৃষ্টি করেছিল সামাজিক বিপর্যয়। দুনিয়া অনাচার, অবিচার, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ, গোত্রীয় লড়াই ইত্যাদি নানা রকম অশ্লীল ও বিবেক বিবর্জিত পাশবিক কাজকর্মে ভরে ওঠে তা মানুষের বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল।
মানবতার সেই ঘোর দুর্দিনে অজ্ঞতা, মুর্খতার অন্ধকার দুনিয়ায় আগমন ঘটেছিল মহানবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর। তিনি এসেছিলেন মানুষের হিদায়াত ও সার্বিক মুক্তির বার্তা নিয়ে। তিনি তার নবুওতী জীবনের মাত্র তেইশ বছরে মৃতবৎ আরব জাতির বৈপ্লবিক সংস্কার সাধন করে তাদেরকে মানবতার যে উচ্চ শিখরে অধিষ্টিত করেন, তা যেমন অলৌকিক তেমনি অভুতপূর্ব। এ অসাধারণ মানবিক বিপ্লব অবলোকন করে দুনিয়ার অমুসলিম চিন্তাবিদ, দার্শনিক, গবেষক ও ঐতিহাসিকরা পর্যন্ত অভিভূত হয়ে পড়েন। প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক কারলাইনের ভাষায়-
"আরব জাতির জন্য এ যেন ছিল অন্ধকার থেকে আলোকের জন্ম। এর সংস্পর্শে এসে আরব দেশ সর্বপ্রথম জীবন্ত হয়ে উঠল। একটা তুচ্ছ মেষপালক জাতি যারা পৃথিবীর সৃজন অবধি অলক্ষিত অবস্থায় মরুভুমিতে বিচরণ করত, তাদের কাছে একজন বীর পয়গাম্বর পাঠানো হল এমন বাণী দিয়ে যা তারা বিশ্বাস করতে পারে। দেখ! সেই অলক্ষিত হয়ে উঠল জগদ্বিখ্যাত, সেই ক্ষুদ্র বেড়ে উঠল বিশ্ব মহান রূপে। এই আরবের মানুষ মুহাম্মদ এবং ঐ এক শতাব্দি- একথা বলা কি ঠিক নয় যে, যেন একটা স্ফুলিঙ্গ। মাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ এমন ভূ-ভাগের উপর আপতিত হল, যা কৃষ্ণবর্ণ অলক্ষিত বালুকা বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু দেখ! ঐ বালুকা বিস্ফোরক বারুদের রূপ ধারণ করে দিল্লী থেকে গ্রানাডা পর্যন্ত সমগ্র ভূ-ভাগে গগনচুম্বী শিখা বিস্তার করে দাউ দাউ করে জ্বলছে।"

তবে মহানবীর আগমণ শুধু যে আরবদের ভাগ্যাকাশে নবারুণ উদয়ের কারণ হয়েছিল তা নয়, বস্তুতঃ তার কল্যাণে বিশ্বমানব জ্ঞানে গুণে উদ্ভাসিত হয়ে নিজেদের হৃত গৌরব উদ্ধার করে। প্রফেসর ডেপার যথার্থই বলেছেন-
"মানবকূলের মধ্যে একমাত্র তিনিই সমগ্র মানবজাতির উপর সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছেন।"
হযরত রাসূল (সা.) ঘোর তমসাচ্ছন্ন যুগে আবির্ভূত হয়ে কিভাবে পথভোলা মানুষদের পথের সন্ধান দিয়ে এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের সংস্কার সাধন করে দুনিয়ায় নবযুগের সুত্রপাত করেন, সেই অধ্যায়টি যেমন বিস্ময়কর ও আকর্ষণীয় তেমনি শিক্ষণীয়ও বটে। মহানবী (সা.) বিশ্ব মানবতাকে সামনে রেখে প্রথমে আরব জাতির হিদায়াতের জন্য কঠোর অধ্যাবসায় শুরু করেন। কারণ তার তাওহিদের বাণী এবং হিদায়াতের আলো পৌছানের দায়িত্ব শুধু আরব জাহানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, ছিল আরও ব্যাপক, বিশ্বব্যাপী। তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের জন্য প্রেরিত রাসূল, হিদায়াতের আলোকবর্তিকা। মহান আল্লাহর বাণী :
‘আমরা তো আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারী হিসেবে।’ ৩৪:২৮
রাসূল (সা.) এর তেইশসালা নবুওতি জিন্দেগীতে তার কর্তব্য-কর্মের রূপরেখা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং কোরআন মজীদে সংক্ষেপে অথচ অর্থপূর্ণভাবে ব্যক্ত করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, ‘বাস্তবিক পক্ষে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের কাছে তাদের মধ্য হতে একজন রাসূল পাঠিয়ে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। সেই নবী তাদের কাছে আল্লাহর আয়াতগুলো পড়ে শুনান; আর তাদের আত্মশুদ্ধি করান, এবং তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। নিশ্চয় তারা ইতোপূর্বে প্রকাশ্যে, গুমরাহীর মধ্যে ডুবেছিল।’ ৩:১৬৫
আলোচ্য আয়াতটি রাসূল (সা.) এর জীবনকর্মের সাথে মিলিয়ে পড়লে আমরা দেখতে পাব যে, তার তের বৎসরের মক্কী জিন্দেগী ছিল আত্মশুদ্ধি ও সংস্কারের যুগ, আর দশ বৎসরের মাদানী জিন্দেগী ছিল জ্ঞান দানের যুগ। রাসূল (সা.) মক্কায় দ্বীন প্রচার কালে আরবরা শতধা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। শত শত গোত্র-শাখা গোত্রে ভাগ হয়ে তারা আরব উপদ্বীপে বাস করত। তাদের আপোষের মধ্যে সম্পর্ক ছিল হিংসাত্মক। লুটরাজ, হানাহানি, মারামারি এবং যুদ্ধ বিগ্রহ ছিল তাদের নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। নিষ্ঠুরতা ও নৈতিক অধঃপতন তাদের চরমে গিয়ে পৌছেছিল। রাসূল (সা.) তাদের মূল রোগ ধরে ফেলেন। সে রোগটি হচ্ছে মানসিক। তিনি দেখলেন যে, তাদের অন্তর ব্যধিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আর এটা চরম সত্য যে মানুষের অন্তর অনুযায়ী তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিচালিত হয়। অন্তর নিষ্ঠুর হলে হাত অন্যায় করে, অন্তর দয়াদ্র হলে হাত মানুষের উপকার করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেনঃ ‘মানুষের দেহে একখন্ড মাংস রয়েছে সেই মাংস খন্ড ভালো থাকলে সর্বশরীর ভাল থাকে, আর তা নষ্ট হয়ে গেলে সর্বশরীর নষ্ট হয়ে যায়। শুন! মানুষের অন্তরই হচ্ছে সেই মাংসপিন্ড।’
তাই আরব জাতির মানসিক রোগ নিরাময়ের জন্য রাসূল (সা.) যে মহৌষধ প্রদান করেন, তা হলো তাওহিদের ঘোষনা কালেমা তাইয়্যিবাহ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।’ এই কালিমা বিপরীত দুটি শক্তির অধিকারী। একদিকে এ কালেমা নাস্তিকতার নাগপাশ থেকে মানুষকে মুক্ত করে আস্তিকতা এবং একত্মবাদের দীক্ষা দিয়ে মানুষের সম্বন্ধ জুড়ে দেয় আল্লাহর সাথে। অন্যদিকে মানুষের একের মনকে জুড়ে দেয় অন্যের সাথে। সমস্ত অনৈক্য দূর হয়ে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। ফলে মানুষ হয়ে যায় ভাই ভাই। এর জলন্ত প্রমান স্বরূপ আমরা আরব উপদ্বীপের দুটি মানচিত্রের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। একটি আরবের জাহিলিয়্যাহ যুগের, যাতে আরব উপদ্বীপ বিভিন্ন যুদ্ধমান গোত্র দ্বারা বিভক্ত। মরুভূমি যেন মানুষের রক্তে রঞ্জিত। আর দ্বিতীয়টি রাসূল (সা.) এর যামানার যুগের, যাতে আরব উপদ্বীপে বিভিন্ন যুদ্ধমান গোত্রের কোন অস্তিত্বই নেই, যারা আরব দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ভন ক্রেমারের ভাষায়- ‘নিকৃষ্ট ভক্তিযোগ্য বস্তুপূজা হতে কঠিন ও অনমনীয় 'তৌহিদবাদ' ইহাই ছিল ইসলামের ধর্মীয় সংস্কার।’

বস্তুতঃ মুহাম্মদ (সা.) তাওহীদের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটিয়ে প্রতিটি মানুষকে একই ভ্রাতৃসংঘের অধীনে একিভূত করেন। যে আরবের লোকেরা ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বহু গোত্রে বিভক্ত হয়ে কলহ-বিবাদ ও রক্তারক্তি করে বিষময় জীবন যাপন করত, তাদেরকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শিক্ষা দিয়ে গোত্রপ্রীতির পরিবর্তে মানবতাবোধের মহান আদর্শে উজ্জীবিত করলেন। ফলে সমাজ হতে হিংসা-বিদ্বেষ, বিভেদ-বিশৃঙ্খলা দূরিভূত হয়ে যায়। পৌত্তলিকতার কেন্দ্র কাবাঘর তাওহীদবাদের কেন্দ্রে পরিণত হয়। ফিলিপ হিট্রি বলেন,- ‘আরবের ইতিহাসে রক্তের পরিবর্তে ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে কায়েম করার প্রচেষ্টা এই প্রথম।’
সমস্ত অনৈক্য অপসারিত করে ঐক্যের ভিত্তিতে যে ভ্রাতৃত্ব মহানবী (সা.) কায়েম করেন, তার আলোচনা প্রসঙ্গে খোদা বখস বলেন, ‘নবী (সা.) শিক্ষার প্রত্যক্ষ ফল হল, গোত্র ভিত্তিক সমাজের বিনাশ সাধন ও ইসলামের ভ্রাতৃত্ব স্থাপন।'
মহানবী (সা.) আরবের রাজনৈতিক জীবনে এক বিপ্লবাত্বক সংস্কার সাধন করেন। বিবাদ-বিসম্বাদ ও ঝগড়া-কলহে লিপ্ত শতধা বিভক্ত আরববাসীকে একটি কেন্দ্রীয় শাসনের অন্তর্ভূক্ত করে তিনি তাদেরকে একটি শক্তিশালী জাতিকে পরিণত করেন। মদীনায় হিজরতের পরে সেখানে তিনি ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজে ছিলেন ইহার রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধান বিচারপ্রতি। ‘মদীনা সনদ’ নামক সংবিধানের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের বসবাসকারী সকল নাগরিককে মৌলিক মানবাধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা এর নিশ্চয়তা প্রদান করেন। যা ছিল ইতোপূর্বে অকল্পনীয়। এই প্রজাতন্ত্রই পরবর্তী কালে বৃহত্তম ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে।

মহানবী (সা.) এর আবির্ভাবের পূর্বে আরব দেশে কোন রূপ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল না। পশুপালন আর চড়া হারে সুদ গ্রহণ প্রথা আরবে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। মহানবী (সা.) মানুষের আত্মিক ও নৈতিক সংস্কারের সাথে সাথে আরব জাতিকে সুদমুক্ত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও মুক্তির পথ দেখান। অর্থনৈতিক দুর্দশাগ্রস্ত সমাজে ধন-বৈষম্য দূর করেন। উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্ত হারাম বস্তু উৎপাদন এবং হারাম ও অবৈধ পন্থায় উপার্জন নিষেধ করেন। তিনি কুশিদ প্রথা বন্ধ করে দেন এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রতিষ্ঠা করে তাতে জনগনের অধিকার সুনিশ্চিত করেন। দরিদ্রের সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। রাষ্ট্রীয় আয়ের উৎস হিসেবে ভূমি রাজস্ব, দরিদ্র কর (যাকাত), অমুসলিমদের নিকট হতে প্রাপ্ত নিরাপত্তা কর, যুদ্ধলব্ধ সম্পত্তি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ হতে আদায়কৃত কর এর পরিমাণ নির্ধারণ করে দেন। সুদ ও জোয়া খেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

বস্তুতঃ রাসূল (সা.) এর সংস্কারের ধারা ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করে। আরব জাতিকে একটি সমৃদ্ধশালী সূখী জাতিতে পরিণত করে। যার সাথে দুনিয়ার অন্য কোন সংস্কারের তোলনাই হতে পারে না। রাসূল (সা.) এর ইহলোক ত্যাগের পর আজ চৌদ্দশত বছরেররও অধিক সময় অতীত হতে চলেছে। সমাজের সুখ-শান্তি, জান-মাল, ইজ্জত-আব্রু সবই আজ বিপন্ন। মানবতার এ সংকটময় মুহুর্তে মহানবী (সা.) এর আদর্শ অনুস্বরণই বিশ্বমানবতার মুক্তি ও মঙ্গল এনে দিতে পারে। বিশ্বের অন্যতম মনীষী বার্ণার্ডস এর ভাষায় তাই বলতে হয়,-
‘‘If the world was united under one leader. Muhammad (s.m) would have been the best idias man to lead the people of various creads dogmas and idias to peace and happens’’

‘সমগ্র দুনিয়াটা যদি একত্র করে একজনকে নেতৃত্বে আনা যেত, তাহলে নানা ধর্মমত, ধর্মবিশ্বাস ও চিন্তার মানুষকে শান্তি সুখের পথে পরিচালনার জন্যে মুহাম্মদ (সা.) হবেন যোগ্য নেতা।

--------------------------------------------------------------
সেলিম সামীর
কলাম লেখক, ব্লগার
ইসলামপুর, সদর সিলেট।

No comments:

Post a Comment

Pages