বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করার পর সতীর্থদের সাথে পল পগবার উল্লাস |
জন্মসূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরী করা ফরাসী দল বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে বর্ণবৈষম্য ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে ইন্টারনেটে।
রোববার ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পর পর ইসলাম ভীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় মার্কিন লেখক খালেদ বেইদউন বহুজাতিক এই দলের জন্য 'সুবিচার' দাবী করে একটি টুইট করেন।
Dear France,— Khaled Beydoun (@KhaledBeydoun) July 15, 2018
Congratulations on winning the #WorldCup.
80% of your team is African, cut out the racism and xenophobia.
50% of your team are Muslims, cut out the Islamophobia.
Africans and Muslims delivered you a second World Cup, now deliver them justice.
KhaledBeydoun এর টুইটার পোস্ট এর শেষ
টুইটে লেখা ছিল, "বিশ্বকাপ জেতায় ফ্রান্স দলকে অভিনন্দন।"
"ফ্রান্সের ৮০ ভাগ খেলোয়াড় আফ্রিকান, বর্ণবৈষম্য ও বিদেশী ভীতি বর্জন করুন।"
"আপনার দলের ৫০ ভাগ খেলোয়াড় মুসলিম, ইসলামভীতি ত্যাগ করুন।"
"আফ্রিকান আর মুসলিমরা আপনাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতিয়েছে, এবার তাদের ন্যায়বিচার দিন।"
তাঁর এই পোস্টটি ১ লক্ষ ৬৩ হাজার বার রিটুইট করা হয়েছে এবং রোববার পোস্ট হওয়ার পর থেকে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার লাইক পেয়েছে।
এবারের ফরাসী দলকে বিশ্বকাপের অন্যতম বহু-সাংস্কৃতিক দল বলা হচ্ছে।
২০১৮ বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পের বাবা-মা ছিলেন ক্যামেরুন আর আলজেরিয় বংশদ্ভূত |
ফ্রান্স দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের ১৫ জনই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত, যাদের অধিকাংশই বিভিন্ন ফরাসী উপনিবেশ থেকে এসেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এমন মন্তব্যও করেছেন যে খেলোয়াড়রা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হলেও বাস্তবে প্রত্যেকেই ফরাসী। খেলাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বক্তব্য উপস্থাপন করায় বেইদউন'এর সমালোচনাও করেন অনেকে।
অনেকে ধারণা করছেন এই টুইটের কারণে ফ্রান্সের বিভিন্ন বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সাম্প্রতিক শরণার্থী সঙ্কট আর কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার কারণে ফ্রান্সে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষের সহাবস্থান বিঘ্নিত হয়েছে।
এনিয়ে দ্বিতীয়বার ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতলো। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের আগে ফ্রান্সের কট্টর রক্ষণশীল নেতা জাঁ ম্যারি লে'পেঁ আলজেরিয়ান বংশদ্ভূত জিনেদিন জিদান সহ দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সমালোচনা করেন।
তিনি দাবী করেন ঐ দলের খেলোয়াড়দের অনেকেই 'বিদেশী এবং ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত গায় না।' তবে এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কট্টর রক্ষণশীল নেতাদের এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
আরেকজন টুইটারে আশা প্রকাশ করেন যে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ে ফ্রান্সের এই বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব পরিবর্তন হবে।
20 years ago, when a diverse French team won the World Cup, we heard a lot about how it was the precursor to a new inclusive France. Less than 20 years later, we almost ended up with a racist far-right president, Marine Le Pen. Please France, don’t waste this opportunity #France— Twenty8Sixty8 (@WilliamPMack) July 15, 2018
সুত্র- বিবিসি বাংলা
No comments:
Post a Comment