মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Tuesday, July 31, 2018

ছাত্র বিক্ষোভে অচল ঢাকা, নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার তৃতীয় দিনে রাজধানীতে ছাত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভে দেশের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র মতিঝিল, ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, তেজগাঁও, নাবিস্কো, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর-২, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, খিলক্ষেত, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, শান্তিনগরজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার বিচারের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ওই দুইজনের মৃত্যুতে আমরাও ব্যথিত, তাদের সহপাঠীরা যেসব দাবি জানিয়েছে তা বিবেচনা করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্লিজ তোমরা শান্ত্ব হও, ক্লাসে যাও। দুর্ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হবে।
সকাল থেকে দুর্ঘটনাস্থল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলেও পুলিশের তৎপরতায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
তবে মিরপুর-২, মিরপুর-১০ ও ফার্মগেটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
পরে দুপুর থেকে রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকে ঘিরে কয়েক জায়গায় শিক্ষার্থীরা যানবাহন ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর জাবালে নূর পরিবহনের বাস উঠিয়ে দেয়। এতে আবদুল করিম ও দিয়া খানম মীম নামে দুজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়।
এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই কলেজটির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো তারা বিক্ষোভ করে। এদিন মিরপুর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে যোগ দেয়।
এদিন দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত পরিবহনকর্মীদের শাস্তি ও দুর্ঘটনার বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়।
ওই দাবি আদায়ে আজও বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে সকালে বিমানবন্দর সড়ক ও ইসিবি চত্বরে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
তবে দুপুর থেকে নানা জায়গায় একের পর এক সড়ক অবরোধ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা মতিঝিলের শাপলা চত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শান্তিনগর মোড়ে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা
ফার্মগেটে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তেজগাঁও কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মিরপুর-১০ নম্বরে মিরপুর শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবং মিরপুর-২ নম্বর সনি সিনেমা হলের নামে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
আগারগাঁও এলাকায় শেরে-ই-বাংলা বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।
তেজগাঁওয়ের নাবিস্কোর সামনের সড়ক অবরোধ করে বেসরকারি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রামপুরায় বিক্ষোভ করে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
-যুগান্তর

No comments:

Post a Comment

Pages