মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Tuesday, August 7, 2018

একজন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন বনাম নিরাপদ সড়ক

কার্টুন কার্টেসী: ডেইলী স্টার
শুধু রাজনৈতিক স্বার্থের কারনেই বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন অনেক মানুষকেই আপন করেছেন যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভুমি তৈরী করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা ট্যান্কের উপর দাড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিল, উনার চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলেছিল, সেই সব লোক আজ তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট মানুষ এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে আসীন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে এই নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানও ছিলেন জাষদের সামরিক শাখা 'গনবাহিনীর' নেতা। কিন্তু আজ শেখ হাসিনা সেই 'গনবাহিনীর' নেতাকে আগলে রেখেছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতার এই স্বার্থের কারনেই শেখ হাসিনা বিষ খেয়েও বিষ হজম করছেন। কখনো এদের প্রয়োজন ফুরালে এরা যে ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবে সেটা অবধারিত।
-সেলিম সামীর
--------------------------------------------------------------
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নুর পরিবহনের ৩ টি বাস প্রতিযোগিতামুলক ভাবে চালানোর সময় জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের মুুখে আসলে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের ওপর একটি বাস উঠিয়ে দেয়। এতে আবদুল করিম ও দিয়া খানম মীম নামে দুজন ছাত্র ছাত্রী নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়। এই ঘটনার পর স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা দোষিদের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভে নামে। পরে ঐ দুর্ঘটনার বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের একটি মন্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ফুসে উঠে। 'নিরাপদ সড়কের' দাবিতে এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমদিকে শাহজাহান খানের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়া সহ ৯ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। সরকারও তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করে এবং সকল দাবি মেনে নেয়ার ঘোষনা দেয়। কিন্তু পরবর্তিতে শিক্ষার্থীরা শাহজাহান খানের পদত্যাগ দাবি করে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক ছিল যা দেশের গনমানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ এধরনের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এসবের বেশির ভাগই ঘটছে সড়কে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে। সড়কের এই নৈরাজ্য এক ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। যে কারনে 'নিরাপদ সড়ক' একটি গনদাবিতে পরিনত হয়েছে। চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়কের জন্য একটি সংগঠন গড়ে তুলে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে যেসব দাবি ছিল সেগুলো সরকার মেনে নিলেও পরে যখন শাহজাহান খানের পদত্যাগের দাবি বড় হয়ে উঠে, তখনই সরকার বেকে বসে। তাদের এ দাবিকে সরকার অগ্রাহ্য করে। মুলতঃ এ কারনেই আন্দোলন বিলম্বিত হয়। পরিশেষে আন্দোলন দমনে সরকার কঠোর অবস্থান নেয় এবং প্রতিহত করার কাজে নামে। যার ফলে সহিংসতার সৃষ্টি হয়। 

শাহজাহান খান পদত্যাগ করলে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলের সমাপ্তি ঘটতে পারতো। তা না করে সরকার বরং দোষ চাপিয়েছে শিক্ষার্থীদের উপর। দাবি মেনে নেয়ার পরও তারা আন্দোলন থেকে ঘরে না ফেরায় এবং আন্দোলনে বিএনপি জামাত-শিবির ঢুকে যাওয়ায় নাকি সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হয়েছে। আসলেই কি তাই? শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরানো যদি উদ্যেশ্য হত তবে পুলিশের বিক্ষোভ দমনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে কেন পুলিশের শেল্টারে দলীয় কর্মিদের দিয়ে এমন সহিংসতার সৃষ্টি করা হল। বিশাল সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীকে হতাহত করা হল। পাশাপাশি পরিবহন ধর্মঘট করিয়ে শ্রমিকদের দিয়েও শিক্ষার্থীদেরকে পিটানো হয়েছে। যা ৭১ টিভির এক লাইভে শ্রমিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি স্বীকার করেছেন। হেলমেটধারী ও চাপাতিওলা দুর্বৃত্তদের হাতে সাংবাদিকরা আহত রক্তাক্ত হয়েছেন, এমনকি কিছু কিছু গনমাধ্যমের লাইভ চলাকালীন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন এবং দুর্বৃত্তরা লাইভ বন্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতির খবর সোস্যাল মিডিয়ায় যাতে না যায় সে জন্য ঐ দিন ২৪ ঘন্টার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সহিংসতা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন 'বাচ্চাদের নিরাপত্তার দায়ভার সরকার নেবে না'। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বললেন 'ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে আমরা বসে থাকবো না'। দেশের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিগন যখন এমন দায়িত্বহীন, দম্ভপূর্ন, উস্কানিমুলক, সর্বোপরি অসাংবিধানিক কথা বলেন তখন এগুলো কি প্রমান করে!

আরেকটি হতবাক করে দেওয়ার মত বিষয় হল, প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার, সাংবাদিক, ডঃ শহীদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করা হয় রবিবার রাতে। প্রায় পুরো একদিন ডিবির কাছে আটকে থাকার পর সোমবার তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাতে মামলা দেয়া হয়েছে এই সাংবাদিক শহীদুল আলমের নামে। উনার একমাত্র অপরাধ উনি আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরাতে একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন দুদিন আগে এবং শিক্ষার্থী আন্দোলনের জন্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন। এটিই তাঁর কাল হলো।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া অঙ্গনে খ্যাতিমান এমন একজন সাংবাদিক আটক হলেন অথচ আমাদের সাংবাদিক সমাজ, গনমাধ্যম একেবারে নিরব। সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার পরও সাংবাদিক সমাজের নিরবতার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আজকের বিবিসি বাংলার 'প্রবাহ' অনুষ্ঠানে। দেশের মানুষ যাদেরকে সুশিল সমাজ বলে জানে তারাও নিশ্চুপ। এ ক্ষেত্রে আমি তসলিমা নাসরিনকে একটু ব্যতিক্রম দেখলাম। হয়তবা তিনি দেশের বাইরে বলেই।

এ প্রসঙ্গে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন-

"শহিদুল আলম তো ক্রিমিনাল নন, তিনি একজন নামী  ফটোগ্রাফার। পুলিশ  কি এখন শহিদুল আলমকেও  মেরে ফেলে বলে দেবে  বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছেন তিনি? নাকি তাঁকে এমন থ্রেট করবে যেন  তিনি সারা জীবনের জন্য বোবা বনে  যান?
শহিদুল আলমের ফেসবুক পেজে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর আওয়ামী গুন্ডাবাহিনীর আক্রমণের যে ভিডিও ছিল, সেটি  উধাও হয়ে গেছে। কিন্তু দুদিন আগে আলজাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া তাঁর সাক্ষাতকারটি এখনও আছে। ওখানেই তিনি সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি কি একটিও ভুল কথা বলেছেন? আমার তো মনে হয় না। শহিদুল আলম তো এমন নন যে তিনি জামাতে ইসলামি বা বিএনপিকে সমর্থন করেন, তাই তিনি আওয়ামী সরকারের নিন্দে করেছেন। তিনি আসলে গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। ন্যায় আর যুক্তির পক্ষে কথা বলেছেন। বাংলাদেশে কি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়, যুক্তি -- এই ব্যাপারগুলো নিষিদ্ধ?"

সুতরাং সার্বিকভাবে সরকারের দায়িত্বশীলদের বক্তব্য অার ছাত্র ছাত্রী, সাংবাদিকের উপর হামলা, আটকের এমনতর চিত্র দেখে কোনভাবেই বুঝা যায় না যে, সরকার আন্দোলনের যৌক্তিকতাকে মন থেকে মেনে নিয়েছে, অবুঝ শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাশে ফেরানোর চেস্টা করেছে। বরং মনে হয়েছে আন্দোলনকে দমন করে ব্যর্থ প্রমান করারই প্রয়াস পেয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, স্কুল পড়ুয়া কিশোর কিশোরীদের শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনকে এমন সহিংস পরিণতি বরন করতে হল কেন? যখন নিরাপদ সড়ক একটি জাতিয় ইস্যু এবং গনদাবি হয়ে দাড়িয়েছে তখন সড়কের নৈরাজ্যের নেপথ্যে পরিবহন শ্রমিকদের মুল শক্তি নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানকে পদত্যাগ না করিয়ে সরকার তাকে রক্ষার পথ বেছে নিতে হল কেন? একজন মন্ত্রীর পদ বজায় রাখতে গিয়ে জনস্বার্থের এমন আন্দোলনকে প্রতিহত করতে হল কেন? কিছুদিন আগে নেপালের এক সাংসদ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে একটি বিরুপ মন্তব্য করার পর শিক্ষার্থীদের চাপে পদত্যাগ করলেন। অথচ আমাদের দেশে অনেক বড় একটি ইস্যু থাকতেও মন্ত্রী পদত্যাগ না করে বরং গনদাবিকে দমন করা হল। তাহলে কি দেশের নিরাপত্তা ও জনগনের স্বার্থের চেয়ে একজন মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব বড়?

বিষয়টির জন্য আমাদেরকে একটু গভিরে যেতে হবে। দেশে পরিবহন শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় যে সংগঠন সেটা হল, 'বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন'। এই সংঘটনের নেতৃত্বেই দেশের পরিবহন শ্রমিকরা পরিচালিত হয়। তাদের যে কোন আন্দোলন, পরিবহন ধর্মঘট এ সংগঠনের নেতৃত্বেই হয়। এই শ্রমিক সংগঠনটি এতই শক্তিশালী যে, তারা চাইলে পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে পুরো দেশকে অচল করে দিতে পারে। কারন পণ্য পরিবহন সহ যাবতিয় পরিবহন শ্রমিকরা এই সংগঠনের নির্দেশে উঠবস করে। আর এই সংগঠনের সভাপতি হলেন বর্তমান নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। এই শ্রমিক নেতৃত্ব থেকেই তিনি মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন। তিনি এবং তার এই শ্রমিক ফেডারেশন আ.লীগের রাজনীতির বিশাল বড় একটি পিলার বা খুটি। এরা যেমন আ.লীগের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার জন্য বড় একটি ফ্যাক্ট তেমনি ক্ষমতার সুরক্ষার জন্যও তারা বড় একটি শক্তি।

গত দশ বছর ধরে শাহজাহান খান সরকারকে সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন তার এই শ্রমিক ফেডারেশনের শক্তি দিয়ে। সবধরনের রাজনৈতিক অরাজনৈতিক আন্দোলনকে প্রতিহত করা হয়েছে এই ফেডারেশনের মাধ্যমে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে। বিএনপির 'ঢাকা চলো', 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' সহ হেফাজতের 'রোডমার্চ' অান্দোলনকে প্রতিহত করা হয়েছে এদের দ্বারাই। শিক্ষার্থীদের 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলন প্রতিহত করতেও এদেরকে কাজে লাগানো হয়েছে। সড়ক পরিবহনের নজিরবিহীন নৈরাজ্য সত্বেও এই শাহজাহান খানের কাছে সরকার বাধা পড়ে আছে এ কারনেই। সরকার কোনভাবেই এদেরকে হাতছাড়া করতে রাজি নয়। আর সরকার দল যেহেতু বর্তমানে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সে কারনে জনগনের ম্যান্ডেটের চেয়ে এদের মত শক্তিগুলোর উপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে।

শুধু রাজনৈতিক স্বার্থের কারনেই বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন অনেক মানুষকেই আপন করেছেন যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভুমি তৈরী করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা ট্যান্কের উপর দাড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিল, উনার চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলেছিল, সেই সব লোক আজ তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট মানুষ এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে আসীন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে এই নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানও ছিলেন জাষদের সামরিক শাখা 'গনবাহিনীর' নেতা। কিন্তু আজ শেখ হাসিনা সেই 'গনবাহিনীর' নেতাকে আগলে রেখেছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতার এই স্বার্থের কারনেই শেখ হাসিনা বিষ খেয়েও বিষ হজম করছেন। কখনো এদের প্রয়োজন ফুরালে এরা যে ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবে সেটা অবধারিত।

সুতরাং 'ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের 'নিরাপদ সড়ক' এর এই আন্দোলন যতই গনদাবি হিসেবে রুপ লাভ করুক না কেন, সড়কের নৈরাজ্য বন্ধে মন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগ যতই যৌক্তিক হোক না কেন শাহজাহান খানকে কোনভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না। তাকে এবং তার পেছনের জনশক্তিকে হাতে রাখতে হলে যে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে আ.লীগ প্রধান এক প্রকার বাধ্য।

কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে। এভাবে কি আজিবন তিনি তার ক্ষমতার সুরক্ষা করে যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গতঃ এখানে তসলিমা নাসরিনের ঐ পোস্টের একটি মন্তব্য উল্যেখযোগ্য।
তিনি তার পোস্টের সবশেষে লিখেছেন-

"হাসিনা যদি মনে করেন, তাঁর কোনও  বিকল্প নেই বলে তিনি যা ইচ্ছে তাই করে যাবেন, এবং সবার তা সহ্য করতে হবে, তাহলে তিনি ভুল করছেন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তো ছিটেফোঁটাও নেই, রীতিমত একনায়িকাতন্ত্র চলছে। তাঁর পিতাও এই ভুলটা করেছিলেন। গণতন্ত্রকে ছুট্টি দিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা হাসিনার শাসনকালে ভালো হয়েছে। এটির জন্য তিনি কি মনে করেন তাঁর সব অপরাধের জন্য তিনি ক্ষমা পেয়ে যাবেন? হিটলার কিন্তু তাঁর শাসন আমলে জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা অকল্পনীয় রকম ভালো করেছিলেন, তাই বলে তিনি কিন্তু তাঁর বর্বরতার জন্য ক্ষমা পাননি।"

সেলিম সামীর
০৭/০৮.১৮

No comments:

Post a Comment

Pages