মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Tuesday, September 11, 2018

নাইন ইলেভেন ট্রাজেডি: ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক প্রতারনা

বিমান হামলায় জলন্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার

একটা বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো যে, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তার সবচেয়ে বিপদজনক শত্রুকে ধরতে দশ বছর সময় লাগল এবং তারা তাকে জীবিত ধরে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করতে ব্যর্থ হলো। আসলে টুইনটাওায়ার থেকে এবোটাবাদ পর্যন্ত পুরো ঘটনাগুলোই নানা সন্দেহে জর্জড়িত অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং ইতিহাসের এক অস্পষ্ট অধ্যায়। নাইন ইলেভেন ট্রাজেডির পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে শুরু হয় জঙ্গি তৎপরতা। কথিত এসব তৎপরতার কারণে সারা বিশ্বের মুসলমানরা মারাত্মক বেকায়দায় পড়েন, সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয় মুসলমানদেরকে। ইসলামী প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর বাড়ানো হয় নজরদারি। অপপ্রচার ও বিদ্ধেষ ছড়ানো হয় মিডিয়ায়। হামলা মামলার শিকার হন বহু মুসলমান। জঙ্গি সন্দেহে বহু মুসলমানকে গ্রেফতার করে তাদের উপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। সইতে না পেরে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন।
--------------------------------------------
ওলীউর রহমান
--------------------------------------------
নাইন ইলেভেন ট্রাজেডি ইতিহাসের এক অস্পস্ট ও কালো অধ্যায়। দু’হাজার এক সালের এগার সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইনটাওয়ার এক নজীরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় ধ্বংস হয়েছিল এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর ‘পেন্টাগন’ ও আক্রান্ত হয়েছিল। ঐদিন আমেরিকা এয়ারলাইন্স এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের চারটি বিমান ছিনতাই করে দু’টি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন-টাওয়ারে এবং অন্য একটি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় পেন্টাগনে। আর চতুর্থ বিমানটি গিয়ে বিধ্বস্ত হয় একটি গ্রামাঞ্চলে। মাত্র এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে চারটি বিমান ছিনতাই করে আমেরিকার মত উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত একটি দেশে এমন ভয়াবহ হামলার কারণে বিশ্ববাসী থমকে দাঁড়িয়েছিল।

১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় চারটি বিমানের ২৬৮ জন যাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ সেদিন প্রাণ হারিয়েছিল। আমেরিকার ক্ষয়-ক্ষতির হার ছিল আনুমানিক ১০ হাজার ৫ শত কোটি ডলার, যা সিঙ্গাপুরের মত উন্নত দেশের পুরো এক বছরের আর্থিক ব্যয়ের সমান। টুইনটাওয়ার ছিল মার্কিনীদের অহংকার এবং আমেরিকার ‘হৃদপিন্ড’। দু’টি মহাসমুদ্র পরিবেষ্টিত কন্টিনেন্টাল আমেরিকার অভ্যন্তরে এই নজীর বিহীন সন্ত্রাসী হামলার জন্যে খোদ আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের ঝড় উঠেছিল।
১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় বিশ্ববাসী মর্মাহত হয়েছিল।

আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মি.জর্জ ডব্লিউ বুশ এ হামলাকে ‘আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ আখ্যায়িত করে সৌদী ভিন্ন মতাবলম্বী উসামা বিন লাদেন এবং তার আল-ক্বায়দা নেটওয়ার্ককে এর জন্য দায়ী করেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা সম্পদশালী পিতার সন্তান সৌদি ধনকুবের বিন লাদেন ১৯৮০ সালে সোভিয়েত দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন। ১৯৯০ সালে কুয়েতে ইরাকের হামলার অজুহাতে সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘটনায় বিন লাদেন সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন এবং এথেকে তিনি রাতারাতি সৌদি সরকার ও আমেরিকার শত্রু হয়ে পড়েন। বিশ্বের কোন মুসলমানই সৌদি আরবের পূণ্যভূমিতে আমেরিকান সৈন্যদের উপস্থিতি মেনে নিতে পারেনি। বিন লাদেনও তা মেনে নিতে পারেননি। আমেরিকার সাথে বিন লাদেনের শত্রুতা এখান থেকেই।

একপর্যায়ে তিনি আমেরিকার কড়া সমালোচনা শুরু করেন। আমেরিকাও বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য তাঁকে দায়ী করতে থাকে। ২০০১ সালে উসামা বিন-লাদেন আফগানিস্তানে অবস্থান করছিলেন। প্রেসিডেন্ট বুশ আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের উপর চাঁপ সৃষ্টি করেন উসামা বিন-লাদেনকে তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তৎকালীন আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারতের প্রেসিডেন্ট মোল্লা মুহাম্মদ ওমর সাফ জানিয়ে দেন যে, কোন প্রমাণ ছাড়া উসামা বিন-লাদেনকে তারা আমেরিকার হাতে হস্তান্তর করবেনা। এতে বুশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং ২০০১ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন নেতৃত্বাধিন বহুজাতিক বাহিনীর বোমা বর্ষণ শুরু হয়। টানা দুই মাসের বোমা বর্ষণে গুড়িয়ে দেয়া হয় খরা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে। হত্যা করা হয় হাজার হাজার নারী ও শিশু এবং নিরপরাধ মানুষকে। উৎখাত করা হয় তালেবান সরকারকে। ট্যাঙ্ক, মিজাইল এবং কার্পেটিং বোমার আঘাতে আঘাতে পাইকারী হারে মুসলমানদের হত্যা করা হয়, আফগানিস্তানের ইসলামী শাসন-ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়, আর বন্দীদের সাথে করা হয় অমানবিক আচরণ। অবশেষে হামীদ কারজায়ীর নেতৃত্বে একটি পুতুল সরকার গঠন করে সেখানে ইঙ্গ-মার্কিন দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

টুইনটাওয়ার ধ্বংসের ঘটনায় খুদ আমেরিকাতেই জোরালোভাবে কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। যেমন-
২য় টাওয়ারে বিমান হামলার দৃশ্য

১. বিশ্বের সর্বাধিক উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিন্ন করে চারটি বিমান কিভাবে ছিনতাই করা হলো?

২. ছিনতাই করা বিমানগুলো কন্ট্রোল রুম থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর গতিপথ পরিবর্তন করে অনেক সময় নিয়ে টুইনটাওয়ার এবং পেন্টাগনে হামলা করেছে, এরমধ্যে আমেরিকার বিমান বাহিনীকে কেন সক্রিয় করা হলো না?

৩. টুইনটাওয়ারে যে বিমান দু’টি আক্রমন করেছিল সে দুটি বিমানের তলায় যে কালো পদার্থ ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল সে পদার্থগুলো কী ছিল?

৪. টুইনটাওয়ারের ধ্বংসাবশেষকে পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সংরক্ষণ করা হলো না কেন?

৫. পেন্টাগনে যে বিমানটি আঘাত করেছিল সে বিমানের পরিমাপ এবং আঘাতের চিহ্নের মধ্যে মিল নেই কেন? বিমানটির ধ্বংসাবশেষইবা গেল কোথায়? এছাড়া আমেরিকার কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথাবার্তা ও অতীত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল যে, নাইন ইলেভেন ট্রাজেডির সাথে এদের কোন যোগসাজস ছিল কি না। এসব প্রশ্ন ও রহস্যের কোন কুল-কিনারা না করে বুশ-ব্লেয়ার ও তাদের সহচররা যুদ্ধোন্মাদনায় মেতে উঠেন।

এভাবে ইতিহাসের একটি জঘন্যতম সন্ত্রাসী ঘটনার মূল রহস্যকে চাপা দেওয়ার চেস্টা করা হয়।
অন্য কোনভাবেও উসামাকে ধরার ব্যবস্থা করা যেত, কিন্তু সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পথই বেছে নেয়া হলো। মজলুমের কান্না নাকি জালেমের জুলুমে সাহস যুগায়, সেই সাহসের মহড়া প্রদর্শন করা হলো আফগানিস্তানে।

টুইন টাওয়ার-উসামা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেয়ার পর এই ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের নল ঘুরে যায় সভ্যতার লীলাভূমি ইরাকের দিকে। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। এই বেআইনী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ২০০৩ সালের ২০ মার্চ থেকে ইরাকে শুরু হয় ইঙ্গ-মার্কিনীদের বিমান হামলা। বোমার আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় সভ্যতার লীলাভূমি ইরাক। অবশেষে সেখানে কোন বেআইনী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তবে বহু প্রাণহানী ঘটিয়ে সাদ্দাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়ে সেখানেও মার্কিন দখলদারিত্ব নিশ্চিত করা হয়। ইরাক ও আফগানিস্তানের অন্যায় ও অসমযুদ্ধে ইঙ্গ-মার্কিনীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখেরও বেশী মানুষকে হত্যা করে। অবশেষে ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর সাদ্দাম হোসেনকে তার জন্মস্থানেই গ্রেফতার করে দখলদার বাহিনী। অত:পর শুরু হয় দখলদারদের হাতের পুতুল ইয়াদ আলাবী, আহমদ চালাবীদের তৈরী আদালতে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করার প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়া। যারা সভ্যতার লীলাভুমি ইরাককে ইতিপূর্বে বধ্যভূমিতে রূপান্তরিত করেছে সেই হায়েনাদের তত্তাবধানে সাদ্দাম হোসেনের কোন ধরনের বিচার করা হবে তা আগেই বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছিল। ইরাকী আদালতের একটি পুরোনো মৃত্যুদন্ডের রায়কে গণহত্যা আখ্যায়িত করে এই গণহত্যার অপরাধে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ঈদুল-আজহার দিনে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।

ইরাকজুড়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরও যেভাবে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের নাম-গন্ধ পাওয়া যায়নি আফগানিস্তানকেও অনুরূপ দুমড়ে মুচড়ে দিয়েও উসামাকে পাওয়া যায়নি। যুদ্ধের পর আমেরিকার বুদ্ধিজীবিরাই বলেছিল যে, গোপন নথিতে ভূল তত্ত সরবরাহ করা হয়েছিল। গোয়েন্দা রিপোর্ট ভূল ছিল। এসব কথা বলে তারা ইরাক যুদ্ধে নিহত লাখ লাখ মানুষের রক্তকে শুধু তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেনি বরং ইতিহাসের এক জঘন্যতম বর্বরতাকে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস পেয়েছিলেন। অন্যদিকে আফগানিস্তানের নারকীয়তা সমাপ্ত করে  পূর্ণ দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বলা হল যে, উসামা আফগানিস্তানে নেই উসামা আশ্রয় নিয়েছে পাকিস্তানে। তাই পাকিস্তানেও শুরু হয় অভিযান। পাইলট বিহীন বিমান এবং ড্রোনের কামড়ে এখানেও অনেককেই জীবন দিতে হয়েছে। এক পর্যায়ে আমেরিকান সৈন্যদের অত্যাচারে যখন পাকিস্তানের জনগণ ফুঁসে উঠে তখন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ৬২ কিলোমিটার উত্তরে এবোটাবাদে একটি বাড়িতে উসামা বিন লাদেনকে পাওয়া যায় এবং সে বাড়িতেই তাকে ২০১১ সালের ২মে হত্যা করা হয়।

এবোটাবাদ অপারেশনেও ছিল নানা অস্পষ্টতা। লাদেনের রক্তমাখা মুখের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ সর্বশেষ প্রকাশিত ছবিতে লাদেনের মুখে কাঁচা-পাকা দাঁড়ি দেখা গেছে। কিন্তু নিহত বিন-লাদেনের যে ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছিল তাতে শুধু কাঁচা দাড়িই দেখা গিয়েছিল। উসামা বিন লাদেনের লাশ সাংবাদিকদেরও দেখানো হয়নি, মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, উসামার লাশ সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে। উসামা বিন লাদেনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি। বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি ঘোষিত ‘মোষ্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী’ উসামার লাশ এতো তড়িগড়ি করে কেন সাগরে ফেলে দেয়া হলো? যে লোকটির জন্য এতো যুদ্ধ, এতো ধ্বংসযজ্ঞ, এতো রক্তপাত তাকে নিয়ে কেন এতো লুকুচুরী? তার লাশ কেন তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পৌছানো হলো না এবং দিনের আলোতে আনা হলো না?

একটা বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো যে, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তার সবচেয়ে বিপদজনক শত্রুকে ধরতে দশ বছর সময় লাগল এবং তারা তাকে জীবিত ধরে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করতে ব্যর্থ হলো। আসলে টুইনটাওায়ার থেকে এবোটাবাদ পর্যন্ত পুরো ঘটনাগুলোই নানা সন্দেহে জর্জড়িত অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং ইতিহাসের এক অস্পষ্ট অধ্যায়।

নাইন ইলেভেন ট্রাজেডির পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে শুরু হয় জঙ্গি তৎপরতা। কথিত এসব তৎপরতার কারণে সারা বিশ্বের মুসলমানরা মারাত্মক বেকায়দায় পড়েন, সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয় মুসলমানদেরকে। ইসলামী প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর বাড়ানো হয় নজরদারি। অপপ্রচার ও বিদ্ধেষ ছড়ানো হয় মিডিয়ায়। হামলা মামলার শিকার হন বহু মুসলমান। জঙ্গি সন্দেহে বহু মুসলমানকে গ্রেফতার করে তাদের উপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। সইতে না পেরে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় বিশ্বের একমাত্র নিঊরো সাইন্টিস্ট ড. আফিয়া সিদ্দিকার কথা। তাকে আল-কায়দা নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ততার কথিত অভিযোগে কিডন্যাপ করা হয় ২০০৩ সালে পাকিস্তান থেকে। ৫ বছর গুম করে রাখার পর ২০০৮ সালে হাজির করা হয় আমেরিকার একটি আদালতে। আমেরিকার আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা দেয়। আদালতে তিনি তার উপর অকথ্য নির্যাতন এবং বছরের পর বছর ধরে গণধর্ষণের বর্ণনা দেন। বিশ্বের সেরা এই বিজ্ঞানীর বড় অপরাধ ছিল তিনি ছিলেন পবিত্র কোরআনের হাফেজা এবং আলেমা। বিজ্ঞানের সুত্রগুলোকে তিনি কোরআনের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করতেন। মুসলিম বিশ্বের কেউ আফিয়া সিদ্দিকার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। অবশেষে তিনিও লাম্পট্যবাদীদের নির্যাতন সইতে না পেরে মৃত্যুর পথ অবলম্বন করেন।

এরূপ আরো বহু ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ ঘটনার মধ্যে ছিল অস্পষ্টতা এবং বিচারের নামে প্রহসন। এক সময় ইরাকে আর্বিভাব ঘটেছে আইএস এর। আরার পাকিস্তানের কোন এক স্কুলে জন্ম নিয়েছে মালালা ইউসুফ জাই। এসবই নাইন ইলেভেন ট্রাজেডির ফসল কি না এটাই হলো প্রশ্ন।

ওলীউর রহমান
লেখক, প্রাবন্ধিক
ইসলামপুর, মেজরটিলা, সিলেট
মোবাইলঃ ০১৭১৪-৬০৮৭২৬

No comments:

Post a Comment

Pages