=================
সাপ্তাহিক মুসলীম জাহানে এক সময়ের জনপ্রীয়একটি নিয়মিত কলাম ছিল "আদব আলীর বেআদবী মা'ফ করবেন" শিরুনামে। এখানে লেখক একবার আমেরিকার আদালতের একটি ঘটনা উল্যেখ করেছিলেন। একটি যুবক ছেলে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে চুড়ান্ত রায়ের দিন বিচারক
রায় না দিয়ে পদত্যাগ করলেন, লোকজন এর কারণ জিজ্ঞেস করলে বিচারক বললেন-
"যেখানে রাষ্ট্রিয় অনুমোদন ও পৃষ্টপোষকতায় এ কাজের প্রতি প্রতিনিয়ত আহ্বান ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে সেখানে এ যুবককে এককভাবে দোষী সাব্যস্ত করে কিভাবে দন্ড দিতে পারি? এটার জন্যতো আমরাও দায়ী অথচ শাস্তি পাবে সে একা! এটা কিভাবে সম্ভব? যদিও প্রচলিত আইনে সে একা দায়ী কিন্তু বাস্তবে এবং নৈতিকভাবে এ কাজের জন্য আমরাও দায়ী, এজন্য আমি এ একতরফা রায় না দিতে পেরে পদত্যাগ করলাম।"
বর্তমান সময়ে শুধু আমাদের দেশেই নয় সারা
বিশ্বে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, সামাজিক অস্থিরতা
ও এইডস ইবোলার মত মহামারি যে হারে বৃদ্ধি
পাচ্ছে এর জন্য আসলে কারা দায়ী? সংস্কৃতি ও প্রগতিশীলতার নামে সামাজিক/ রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বেহায়াপনা ও অশ্লিলতার প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যার কুফল বিশ্ববাসী ভোগ করছে। বিশ্বনবী রাহমাতুললীল আ'লামীন আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে এ সমস্ত কুফলতার ভবিষ্যদ্বাণী ও সতর্ক করে গেছেন। প্রিয় নবীজী এররশাদ করেন; "যখন কোন জাতির মধ্যে অশ্লিলতা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে তারা প্রকাশ্যে অশ্লিলতায় লিপ্ত হতে থাকে, তখন তাদের মধ্যে এমন সব রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে যা তাদের পুর্বপুষদের মধ্যে প্রসারিত ছিল না"
[ইবনে মাজাহ ২/১৩৩২]
মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
No comments:
Post a Comment