যারা আলেম উলামা ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মার খাওয়া নিয়ে বিদ্রুপাত্মক কথাবার্তা বলছেন তাদেরকে কিছু কথা না বলে পারছি না...
বাতিলের বিরুদ্ধে দাড়ালে মার তো সহ্য করতেই হবে। হুজুর সঃ বাতিলের বিরুদ্ধে উহুদের যুদ্ধে কাফিরদের আঘাত খেয়ে দান্দান মোবারক শহিদ হয়েছে, রক্ত ঝরেছে,
সাহাবারা রক্ত ঝরিয়েছেন, শহিদ হয়েছেন। কারবালার ময়দানে রাসুলের নাতির রক্ত ঝরেছে, শহিদ হয়েছেন।
আপনি কি বলবেন তারাও বেশি বাড়াবাড়ি করেছেন বলে মার খেয়েছেন ?
রাসুলের উত্তরাধিকারী উলামাগন সকল যুগে বাতিলের সম্মুখিন হয়েছেন, রক্ত দিয়ে, জিবন দিয়ে বাতিলকে রুখেছেন।
এই ভারত উপমহাদেশের বালাকোট
"ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বাদ" -ইসলাম জিন্দা হয় প্রতিটি কারবালার পর! ইতিহাসের সেই কারবালাগুলোর রক্তঝরা উপাখ্যান লিখিত হয়েছে কাদের রক্তে?
দ্বীনের বঠবৃক্ষকে জিন্দা রাখতে তার শিকড়ে যুগে যুগে রক্ত ঢেলেছেন মর্দে মুমীন উলামায়ে কেরামগন ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্র সমাজ, তোমার আমার মত 'পাক মুসুল্লি বদনা চুরা' মার্কা কোন আওয়াম মুসলমান নয়।
কওমি আদর্শের মুল ভিত্তি যে দেওবন্দ, এই দেওবন্দই বাতিল বিরোধী রক্ত ঝরা এক আন্দোলন থেকে প্রতিষ্ঠিত। "দেওবন্দ" একটা মাদ্রাসা নয়, একটা আন্দোলনের নাম। আর এই আন্দোলনেরই একজন সুর্য্য সন্তান 'মাও: ইলিয়াস ছাব রহঃ'। এই আন্দোলনেরই একটি শাখা দাওয়াত ও তাবলিগের 'নিযামুদ্দিন'। দেওবন্দের দর্শন, চিন্তাধারা ও পরামর্শেই ইলিয়াসী মেহনতের সৃষ্টি। সুতরাং মাদ্রাসা থেকে নিযামুদ্দিনের সৃষ্টি, নিযামুদ্দিনের কারণে মাদ্রাসা সৃষ্টি হয়নি।
এসব ইতিহাস তুমি আমি না মানতে চাইলেও এটাই ইতিহাসের পাতায় উলামায়ে কেরাম ও কওমি সমাজের ঈমানদীপ্ত দাস্তান। ইতিহাসের এই বাস্তবতাকে তুমি মুছে ফেলতে পারবে ভাই?
সবশেষে সকল তাবলিগ প্রিয় সাথি ভাইকে বলব, "হুশ মে কাম করো, জুশ মে নেহি"।
Shelim Sameer
04/12/18
No comments:
Post a Comment