মুক্তকন্ঠ - Mukthokonto

স্বাধিন কন্ঠের মুক্ত প্রতিধ্বনি
ব্লগ এডমিন: সেলিম সামীর

Breaking

Monday, January 21, 2019

প্রকৃত সফলতা

মুহাম্মদ আবদুল হামিদ
------------------------------
প্রতিটি মানুষের জীবন কর্মময়। দুনিয়ার জীবনে মানুষ বিভিন্ন ধরণের কর্মে লিপ্ত হয়। সুকর্মের দ্বারা মানুষ কীর্তিমান হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যুগ যুগ ধরে বেঁচে রয়। আর কুকর্মের দ্বারা নিন্দিত, কলঙ্কিত ও অপমানিত হয়। কর্মের দ্বারা কেউ হয় শিক্ষক, কেউ কৃষক, কেউ ড্রাইভার, কেউ শিল্পপতি, কেউ এমপি, কেউ মন্ত্রী, কেউ রাষ্ট্রপতি ইত্যাদি। আবার কেউ হয় চুর, কেউ ডাকাত, কেউ মদ্যপায়ি, কেউ ব্যভিচারি, কেউ অত্যাচারি ইত্যাদি।
এ সবই মানুষের কর্মের উপর নির্ভরশীল। মানুষ কি করবে কি করবে না, কোনটি অপরাধ কোনটি অপরাধ নয় সে বিষয়ে প্রতিটি সমাজ সভ্যতারই একটি নীতিমালা রয়েছে; হউক সেটা স্রষ্টা কর্তৃক নির্ধারিত বা কোন বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক নির্ধারিত। সেই নীতিমালা উপেক্ষা করে কেউ অপরাধে নিমজ্জিত হলে সমাজিক বিধির আলোকে শাস্তির বিধান রয়েছে। এজন্য দুনিয়ার নগর-বন্দরে রয়েছে আইন, আদালত, কারাগার ইত্যাদি। আবার রয়েছে, ভালো কাজের প্রতিদান পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থাও। কিন্তু এতো আইন, আদালত, কারাগার আর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা থাকার পরেও আমাদের সমাজ দিন দিন অধঃপতন-অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে কেন?
সবকিছুর উর্ধে মানুষকে যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীতে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন, স্বয়ং তিনি নিজেই মানুষের শান্তি-নিরাপত্তার সাথে বেঁচে থাকার জন্য যত আইন-কানুন প্রয়োজন তা পরিপূর্ণরূপে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কি কাজ করলে মানুষ শাস্থির উপযুক্ত হবে, আর কি কাজ করলে পুরস্কার প্রাপ্ত হবে সবই আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যে সব সমাজ বা সভ্যতা স্রষ্টার বিধান উপেক্ষা করে নিজের মনগড়া বিধান প্রয়োগ করে পৃথিবীতে জীবনযাপন করে তখনই সেই সমাজে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, লুটপাট, অরাজকতা। মানুষের তৈরী মনগড়া বিধান দিয়ে উঁচু দালান, আর আকাশে গ্রহ-উপগ্রহ নির্মাণ করা গেলেও মানুষের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়ন সাধন করে সফল ও শান্তির সমাজ গঠন করা সম্ভব হয় না। বর্তমান তন্ত্রমন্ত্র তার জলন্ত প্রমান। আর যে সব সমাজ বা সভ্যতা আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের আলোকে পরিচালিত হয়েছে, হচ্ছে; এগুলোই হয়েছে শান্তির সমাজ বা সভ্যতা। রাসূল (সা.) এর মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে নিয়ে খোলাফায়ে রাশেদার যুগ তার জলন্ত প্রমান।
সমাজবদ্ধ হয়ে সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করে মানুষ যাতে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে পারে সে জন্য আল্লাহ তা’লা বিধান আরোপ করে দিয়েছেন। মানুষ এসব বিধান ঠিকমত পালন করছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিয়োগ করে দিয়েছেন প্রহরী। কুরআনে বর্ণিত হচ্ছে, ‘অবশ্যই তোমাদের উপর সম্মানিত আমল লেখক তত্ত¡াবদায়ক নিযুক্ত আছে’ (সুরা ইনফিতার)। প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, আলো-আধারে, সাগরের নিচে, গহীন জঙ্গলে মানুষ যা করে তার সবই তারা পর্যবেক্ষণ করেন এবং লিখে রাখেন। হাশরের ময়দানে আমলনামা স্বরূপ এগুলো প্রত্যেকের হাতে দেওয়া হবে। সেদিন প্রতিটি কাজের জন্য মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে।
বিচারের দিনে যিনি মুক্তি অর্জন করতে পারবেন তিনিই হবেন প্রকৃত সফল। আল্লাহ তা’লা ইরশাদ করেন, ‘আমি কিয়ামতের দিন ইনসাফের পাল্লা স্থাপন করব। কাজেই কারো প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না। যদি একটি রাঈদানা পারমাণও ভালো-মন্দ কাজ কেউ করে তবে সবই সে পাল্লায় রাখা হবে। আমি হিসাবের জন্য যথেষ্ট।’ (আল- কুরআন) এ প্রসঙ্গে সুরায়ে কারিয়ায় এরশাদ হচ্ছে, ‘যার নেকীর পাল্লা ভারী হবে তার ঠিকানা হবে জান্নাত, আর যার নেকীর পাল্লা হালকা হবে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।’
আল্লাহর আদেশ মান্য করার পুরস্কার আর  অমান্য করার শাস্থি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার পর পবিত্র কুরআনের বিভিন্নস্থানে জান্নাতের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করে মানুষকে সৎকর্মের প্রতি অনুপ্রাণিত করেছেন, আর জাহান্নামের ভয়াবহতার বিবরণ দিয়ে পাপকর্মের প্রতি নিরুৎসাহিত করেছেন। কুরআনের বিভিন্নস্থানে উপমা পেশ করেছেন যাতে মানুষ আল্লাহকে চিনতে পারে এবং তাঁর ও তাঁর রাসূলে প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। সৃষ্টিজগতের রহস্য ও মানুষের সুচনালগ্ন থেকে শেষ পরিণাম পর্যন্ত এতো এতো নিদর্শন থাকার পরেও মানুষ স্রষ্টাকে চিনতে পরে না। মানুষ ধোকায় নিমজ্জিত হয়ে আছে। আল-কুরআনের এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব দিগন্তে এবং তাদের অস্তিত্বের মাঝে; যাতে তাদের পরিস্কার হয়ে যায় যে, এটা (আল্লাহর দ্বীন) সত্য।”
আল্লাহকে চেনার এতো এতো উপমা থাকার পরেও ধোঁকায় নিমজ্জিত কিছু সংখ্যক মানুষ তাঁকে চিনতে পারেনি। কোরআনে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আল্লাহ তা’লা বলেন, ‘হে মানুষ! যে পালনকর্তা তোমার মধ্যে এতোসব গুণ গচ্ছিত রেখেছেন, তার ব্যাপারে তুমি কিরূপে ধোঁকা খেলে? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। তিনি তোমাকে তার ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন’ (সুরা ইনফিতার)। এই আয়াতে মানুষের সৃষ্টির প্রারম্ভিক পর্যায় উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে সামান্য চিন্তা-গবেষণা করলে মানুষ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারত এবং নিদর্শনাবলীর চুল পরিমাণও বিরুদ্ধাচারণ করত না।
মানুষ বিবেক-বুদ্ধি ও চিন্তা-গবেষণাকে ব্যববহার করে সচেতনভাবেই শিল্পবিপ্লব ও ফরাসি বিপ্লবসহ নানরকম সামাজিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। মানবসমাজের বিবর্তন হয়েছে বন্যদশা থেকে বর্বরদশা এবং বর্বরদশা থেকে সভ্য দশায়। বিজ্ঞানচর্চা করে মানুষ আবিস্কার করেছে, মোবাইলফোন, কমপিউটার, ইন্টারনেট, রেলগাড়ী, উড়োজাহাজ, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত থেকে উন্নততর যন্ত্রপাতি। তৈরী করেছে যানবাহন, লঞ্চ, স্টীমার, জাহাজ, বোট, নৌকা, ইত্যাদি সর্বশেষ সাগরের তলদেশে সভা-সমাবেশও হচ্ছে। এসবই মহান আল্লাহ তা’লার নিদর্শন ও অনুগ্রহ। দুর্ভাগ্য ঐসব মানুষের জন্য! যারা আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানকে ব্যবহার করে বিজ্ঞানের আশ্চর্যজনক আবিস্কার করতে পারলেও জ্ঞানের মালিককে চিনতে পারলো না। আকাশ, সাগর, পানি, মাটি, বৃক্ষরাজি ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বস্তু ও পণ্য সামগ্রী তৈরী করতে পারলেও এগুলোর প্রকৃত মালিককে চিনতে পারলো না। দুনিয়ার মানুষ এদেরকে জ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও প্রকৃতপক্ষে এরা জ্ঞানী নয়।
 যেই জ্ঞান অর্জন করে মানুষ স্র্রষ্টাকে চিনতে পারে না। যেই জ্ঞান স্রষ্টার বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করে নিজেদের খেয়াল-খুশি মত জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করে, পাপিষ্ট শয়তানকে বন্ধু বানিয়ে জীবনকে গোনাহের কাজে নিমজ্জিত করে, নফসের পুজারী হয়ে আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধানকে অগ্রাহ্য করে ভোগ-বিলাস, আরাম-আয়েশে মেতে থাকাকে জীবনের উৎকৃষ্ট অর্জন মনে করে। আরাম আয়েশের মোহে পরে স্রষ্টা কর্তৃক নির্ধারিত নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি ফরজ বিধানাবলী ছেড়ে দিতে থাকে। যা মস্তবড় গোনাহ। এমনকি ধীরে ধীরে তা অস্বীকার করতে শুরু করে এবং এক সময় বলতে থাকে ‘ধর্মকর্ম বলতে কিছুই নেই’। আমাদের সমাজে এমন কিছু শিক্ষিত লোকও আছে- যারা মাঝেমধ্যে নিজের ব্যাপারে এমনও বলতে শুনা যায়, ‘আমি মুসলমানও নয়, হিন্দুও নয়’। আবার অহেতুক গবেষণার ফলে বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন লোকেরা স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে অসভ্য মন্তব্য করে ঈমানহারা হয়ে যায়।
যে জ্ঞান স্রষ্টার পরিচয় অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়, সেই জ্ঞান কিঞ্চিত দুনিয়াবি সফলতার জ্ঞান হলেও প্রকৃতপক্ষে তা সফলতার জ্ঞান নয়; বরং ব্যর্থতাই। কালামে পাকে এরশাদ হয়েছে, ‘প্রকৃত জ্ঞানীরাই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেন’। এই আয়াতে প্রকৃত জ্ঞানী বলতে সেই সকল ব্যক্তিগণকে বুঝানো হয়েছে, যারা জ্ঞান দ্বারা আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভ করেছেন এবং আল্লাহ তায়ালার কুদরত নেয়ামত এবং তার বিধানাবলী সম্পর্কে অবগত ও সচেতন। আল্লাহ তায়ালার জাত ও সিফাতের জ্ঞান যখন পূর্ণ হয় তখন উহার কারণে মানুষের অন্তরে তাঁর প্রতি ভয় সৃষ্টি হয়।
যেই জ্ঞান অর্জন করলে মহান স্রষ্টার কথা স্বরণ হয়, ঈমান বা বিশ্বাস দৃঢ় হয়, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালনে আগ্রহ বাড়ে, ইবাদতে একাগ্রতা আনে, চিরস্থায়ী পরকালীন জীবনের সফলতা বয়ে আনে সৎকর্মের প্রতি মন ব্যকুল হয়ে থাকে, সেই জ্ঞানই আসল জ্ঞান। যার জ্ঞান, বিবেক-বুদ্ধি আল্লাহর বিধি-নিষেধের আলোকে পরিচালিত হয় সেই প্রকৃত জ্ঞানী। যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে, আল্লাহর বিধি-বিধানের আলোকে জীবনযাপন করে, আল্লাহকে ভয় করে, নামাজ প্রতিষ্টা করে, স্বীয় জীবিকা থেকে সৎপথে ব্যয় করে, আখেরাতকে বিশ্বাস করে আল কোরআনে এসব মহৎ ব্যক্তিদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।’ (সুরায়ে বাকারাহ-৫)
আমাদের সমাজে বহু প্রচলিত একটি কথা আছে যে, ‘শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই, কিন্তু বিবেকবান মানুষের খুবই অভাব।’ বড় ডিগ্রি অর্জন করেই ভদ্রলোক হওয়া যায় না। শেখ সাদি বলেন, ‘ভদ্রলোক সেই, বড় সেই, যে সত্যের অনুসারী। যে মনুষ্যত্বকে সমাদর করে; চরিত্র ও মহত্ত যার গৌরব। নিত্য কোর্মা-কালিয়া, রাবড়ি ক্ষীর খাও কি না- শুনতে চাইনে; তোমার বহু লোকের সাথে আলাপ পরিচয় আছে কি না- জানবার আমার দরকার নেই। তোমার পিতা জজ সাহেব, তা শুনে আমার কঠিন মন সুখী হবে না। আমি দেখতে চাই তোমাকে, তোমার ভিতর-বাহির, তোমার মনুষ্যত্ব ও চরিত্র।’
শেখ সাদি আরো বলেন, ‘তুমি সত্যবাদী, জ্ঞানের সাধক এবং পাপকে ঘৃণা কর। তুমি যে কোন কাজই করো কেন, বিশ্বাস করো, তোমার মর্যাদা অল্প নয়। তুমিই যথার্থ ধার্মিক। তুমিই প্রকৃত সফল।’
মানুষের জীবন খুবই সীমিত সময়ের। এই দুনিয়া মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নয়। মরণ একদিন মুছে দেবে সকল রঙ্গিন পরিচয়। ক্ষমতাধরের ক্ষমতা মুহুর্তেই ধুলিস্যাত হয়ে যাবে যখন মৃত্যু দুয়ারে এসে হাক দিবে। রাজা-প্রজা, ধনী-গরীব, সবল-দুর্বল কেউই মৃত্যু থেকে বাঁচার উপায় নেই। অতিথি পাখি যেমনিভাবে শীতকালে এসে আবার গ্রীষ্মকালে চলে যায়, তেমনি  মানুষকে কিছু দিনের জন্য পৃথিবীতে এসে আবার পরকালের দিকে চলে যেতে হয়। সীমিত সময়ের জীবনের কর্ম দিয়ে অনন্তকালীন জীবনের সুখ-শান্তি অর্জন করে নিতে হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতে পুুঁজি অর্জনের জায়গা’।- পরকালীন জীবনের সুখ-শান্তির মার্কেটিং এর জায়গা হচ্ছে এই দুনিয়া। দুনিয়া নামক মার্কেট থেকে যিনি ঈমানদার হয়ে সৎকর্ম নিয়ে যেতে পারবেন, তিনিই হবেন উত্তম পথের যাত্রী। আর যিনি ঈমানহারা হয়ে মন্দকর্ম নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন, তিনি হবেন দুর্বিসহ মন্দ পথের যাত্রী। দুনিয়া থেকে ভালো কিছু নিয়ে যেতে পারলেই অনন্তকালীন জীবনে মানুষ পাবে সুখ-শান্তির ঠিকানা জান্নাত। আল্লাহ তা’লা কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য রয়েছে নৈসর্গিক উদ্যান পরম সুখের ঠিকানা জান্নাতুল ফিরদাউস, তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল’। (সুরা কাহাফ-১০৭)
সুতরাং, আল্লাহ তা’লা দুনিয়ার মানুষকে পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য যে সকল দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই দিক-নির্দেশনার আলোকে যার জীবন পরিচালিত হবে, সেই প্রকৃত সফলকাম।
---------------------------------------------------------------
মুহাম্মদ আবদুল হামিদ
নিবন্ধকার ও কলাম লেখক
hamidsylbd@gmail.com

No comments:

Post a Comment

Pages